শনিবার (০১ জুন) বিকেলে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, সকালে উপজেলার ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুইজন হলেন- ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে শাহ সুফিয়ান (৩১) ও একই এলাকার শাজাহান পাটোয়ারীর ছেলে ইয়ারফাত পাটোয়ারী (৩২)।
কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বাংলানিউজকে জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার এজাহারভুক্ত ওই দুই আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুইজনকে ভৈরব থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান
তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতে বাড়ি থেকে তারাবির নামাজ পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হয় রূপক। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজের পর তাকে না পেয়ে পরদিন শুক্রবার (৩১ মে) সকালে ভৈরব থানায় এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রূপকের বাবা নূরে আলম বিপ্লব। পরে ভৈরব র্যাব কার্যালয়ে বিষয়টি জানান। পরে এদিন দুপুরে ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি পাকা বাড়ি থেকে রূপকের মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই জড়িত সন্দেহে নিহতের তিন সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতেই নিহত রূপকের বাবা নূরে আলম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুই/তিনজনকে আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রূপক নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার গৌরিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের নূরে আলম বিপ্লবের ছেলে। সে ভৈরব কে বি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেছে। তার বাবা নূরে আলম ভৈরব বাজারে একটি সিমেন্ট কোম্পানির ডিলার এবং সপরিবারে ভৈরব বাজারে বসবাস করেন।
** ভৈরবে শিক্ষার্থী খুন, ৩ সহপাঠী আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
এসআরএস