নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় চরকিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আহত সোনিয়ার বাবা আওলাদ হোসেন বিলাপ করতে করতে এ কথা বলছিলেন বাংলানিউজকে। শুক্রবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়।
ট্রলারটিতে ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে সোনিয়াসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী। গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের আধার মানিক গ্রামের বাসিন্দা সোনিয়া ট্রলারে চেপে মেঘনা পার হয়ে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট আসছিলেন। সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগংগা কলেজে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।
সোনিয়ার বাবা বলেন, ‘ডান পায়ের রগ ছিঁড়ে গেছে, মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গেছে এবং শরীরের কয়েকটি স্থান থেতলে গেছে। মেয়ের অবস্থা এখন মুমূর্ষু। শনিবার (১ জুন) চিকিৎসকরা বোর্ড গঠন করে অপারেশন করবেন। সাত ব্যাগ রক্ত ব্যবস্থা করে রাখতে বলেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগংগা কলেজে সোনিয়ার পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একাই যাচ্ছিল সে। দুর্ঘটনার পর এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর মেয়ের ভিজে যাওয়া মোবাইল থেকে সিম বের করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাৎক্ষণিক ওই হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাই। ’
সোনিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর অবস্থার অবনতি দেখে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় সোনিয়াকে।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত ইব্রাহীমকে (৫০) উন্নত চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
জিপি