ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকা ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়েয়ারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা ফারজানা ইয়াসমিন দিনা (৩৮) বাংলানিউজকে কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (৩১ মে) ঈশ্বরদী থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
এদিকে, সকাল থেকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেন নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে ছাড়ছে। তবুও স্বস্তিতে যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ।
রেলস্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ সুগারক্রপ ইনিস্টিউটের মূখ্য বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা রনি চাকমা বাংলানিউজকে জানান, সড়কপথে যানজট। প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তির কারণে একঘণ্টা দেরি হলেও ট্রেনই স্বস্তি আর নিরাপদ।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট আসলাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সব ট্রেনেই যাত্রীদের নিরাপদে ট্রেনে উঠানামা ও দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, ঈদের সময় যাত্রীদের ট্রেনে উঠানামায় দুই মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট লাগছে। গেটে বেশ যানজট লেগে যায়, ট্রেনযাত্রাতে তাদের একটু নিরাপদে উঠানামার জন্য ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো যেন চলাচল করে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (এডিআরএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, যাত্রীরা যেন সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তেমনি সুন্দরভাবে স্বস্তিকর পরিবেশে তাদের পৌঁছে দেওয়াটা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। ট্রেন কিছুটা বিলম্ব হলেও যাত্রা আনন্দদায়ক হোক। তবে আমার চেষ্টা করছি সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল করানোর জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
এনটি