শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার সন্ধ্যাহলা গ্রামে মাসুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় নতুন সব জামা-প্যান্ট, পাঞ্জাবি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা সে।
বাংলানিউজে প্রতিবেদনটি প্রকাশের দেশে-বিদেশের মানুষ মাসুদের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
মাসুদের দাদি আহের বানু বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন ঈদবস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা করেন। এরই সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নির্দেশে একইদিনে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঈদবস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা করেন।
পরে একে একে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাড়িতে গিয়ে মাসুদকেসহ পরিবারের সদস্যদের ঈদবস্ত্র উপহার দেন।
মাসুদ বাংলানিউজে জানায়, ঈদের জামা পেয়ে সে এখন অনেক অনেক খুশি। মাসুদ উপজেলার সন্ধ্যাহলা গ্রামের আলফত আলীর ছেলে।
সম্প্রতি দরিদ্র পরিবারের শিশু মাসুদের দেখা মেলে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার গাংধরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাঁচকাঠা বাজারে। বিদ্যালয়ের পোশাক পরা দেখে আগ্রহ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, হাঁস বেচতে আসার মূল উদ্দেশ্য।
মাসুদ উপজেলার সন্ধ্যাওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলফত আলীর ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাসুদ তার বাড়ির পথ মাড়িয়ে ও কংস নদী পাড়ি দিয়ে ৫০০ টাকার জন্য রাজহাঁস বেচতে এসেছিল। ‘হাঁস বেচে ঈদের জামা কিনবে শিশু মাসুদ’ এমন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভাইরাল হয় নিউজটি। বাংলানিউজের বার্তাকক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আসতে থাকে ফোন-ইমেইল। সবাই মাসুদকে সাহায্য করার ইচ্ছার কথা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
এসএইচ