বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পাবনা বিগ বাজারের বেলা সাড়ে ১১টায় ঈদবাজার পরিস্থিতি দেখতে গেলে চোখে পড়ে মাত্র দু’জন ক্রেতা।
কথা হয় বিগ বাজার শপিংমলের পরিচালক তরিকুল ইসলাম সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে আমরা বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে সেভাবে কাস্টমার আসছে না। সারাদিনের বেচাবিক্রি দেখে এটা ঈদের বাজার মনে হচ্ছে না। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসায় এতো টাকা ইনভেস্ট করেছি। কিভাবে তা পরিশোধ হবে বুঝতে পারছি না।
পাবনা এ আর কর্নারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মনা বিশ্বাস বলেন, এবারে ঈদ বাজার ব্যবসায়ীদের পথে বসিয়ে দেবে। কৃষকের হাতে টাকা না থাকার দরুণগ্রাম থেকে তেমন মানুষ শহরে আসছে না। ঈদের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি আর এই সময় ক্রেতার জন্য অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে।
পাবনার ঐতিহ্যবাহী শাড়ির দোকান সুলভের মালিক বলেন, গত ১০ বছরের মধ্যে ব্যবসার এই মন্দাভাব আমরা দেখিনি। গতবার আমাদের শাড়ির ঘরে কাস্টমারদের বসার জায়গা দিতে পারিনি। বাইরে থেকে ফিরে গেছে, আবার পরে এসেছে কাস্টমার। আর এবার হাতে গোনা কাস্টমার, দোকানের কর্মচারীদের বেতন দিতে সব চলে যাবে, আমাদের মালিকের কিছুই থাকবে না।
পাবনা খান বাহাদুর শপিংমলের গার্মেন্টস দোকান ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান রাসেল বলেন, পড়ালেখা শেষ করে এ ব্যবসায় নেমেছি ১০ বছর আগে। বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু গতবছর থেকে ব্যবসা খুব খারাপ যাচ্ছে। এবার তো আরও বেশি খারাপ যাচ্ছে। আমরা ব্যাংক লোন নিয়েছি কয়েক লাখ টাকা। কিভাবে ব্যাংক লোন পরিশোধ করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে চাকরি ছেড়ে ভুল করেছি। পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের গার্মেন্টস ব্যবসার কৌশলে নষ্ট করে দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী কয়েকটা দিন যদি ব্যবসা ভালো হয় তবেই রক্ষা, তা না হলে পথে বসতে হবে।
শাড়ির দোকানগুলোতে মেয়েরা সুতি শাড়ি আর তরুণও সুতির পোশাকই বেশি কিনছে। শাড়ি ৫শ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার, আর থ্রি-পিস এক হাজার থেকে ১০/১২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
জুতা-স্যান্ডেলের দোকান মালিকরা বলছেন, দেশীয় স্যান্ডেলের পাশাপাশি চায়না স্যান্ডেলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তবে সবমিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
এএটি