উপজেলার চরকাঠি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ তালুকদারের ঘরের পেছনে ওই যুবকে বছর-খানেক আগে মেরে পুতে রাখা হয়েছে বলে বুধবার (২৯ মে) স্থানীয় চৌকিদারের মাধ্যমে জানতে পেরে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
পরে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলিমুজ্জামান মিলন ও কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসান উপস্থিতিতে ওই যুবকের দেহাবশেষ উদ্ধার করে কচুয়া থানা পুলিশ।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মৃত মোহাম্মদ তালুকদারের তিন মেয়ে-এক ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান রুবিনা (২২) ঢাকার সাভারে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সেখানে এক যুবকের বিয়ে করে বছরখানেক আগে উপজেলার চরকাঠি গ্রামের বাবার বাড়িতে স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন। রুবিনার স্বামী আজিম সম্পর্কে পরিবারের কারও তেমন কিছু জানা ছিল না। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এসময় রুবিনাকে মারপিট করে আজিম। রুবিনাও একপর্যায়ে স্বামীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে রুবিনা তার স্বামীকে ঘরের পেছনে মাটি চাপা দেয়। রুবিনা স্বামী আজিমের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় চৌকিদারের মাধ্যমে রুবিনার মা বৃদ্ধা শেফালি পুলিশের কাছে খবর পাঠায়। পরে বুধবার (২৯ মে) রাতে ঘটনাস্থলে যায় পলিশ। সেখানে তদন্ত করে দেহাবশেষ থাকার সত্যতা পাই।
ওসি আরও বলেন, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ওই ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রুবিনাকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
জিপি