সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়ক দুই লেনের কারণে আব্দুল্লাহপুর থেকে সড়কের বিভিন্ন মোড় ও স্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ির ধীরগতি রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক চার লেন হওয়ায় ও সড়কে কোনো ভাঙাচোরা না থাকায় যানবাহন তার নিজ গতিতে গন্তব্যে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগেই ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। এ কারণে এবার রাজধানীর বহির্গমন পথ ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে যানজট নেই বললেই চলে। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) তথ্য মতে, সাধারণত দিনে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি গাড়ি ঢাকা-আরিচা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তবে ঈদসহ নানা উৎসবের আগের দিনগুলোতে গাড়ির চাপ ২/৩ গুণ বেড়ে যায়।
গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী শেরপুর ট্রাভেলসের যাত্রী মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঈদের কয়েকদিন আগেই পরিবার নিয়ে বাড়ি যায়। কারণ এই সময়টি সড়কে অনেক যানজট থাকে। এবার দেরি হলেও কোনো যানজট চোখে পড়েনি।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নয়ারহাট শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল্লা ভূঁঞা বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের কাজ তিন মাস আগে থেকে শুরু করা হয়েছে। সড়কে সংস্কারের কাজ শেষ। এখন রাস্তার কোথাও কোনো ভাঙাচোরা নেই। এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ খুব ভালোভাবে বাড়িতে যেতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তাহমিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই ঈদে সড়কে একটু গাড়ির চাপ বেশি থাকে। এবার সেই চাপ হলেও সড়কগুলোতে যানজট নেই। ট্রাফিক পুলিশের নিরলস পরিশ্রম ও সড়ক ঠিকঠাক থাকায় সামনের দিনগুলোতেও যানজট হবে না। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে পুলিশে বাড়তি প্রস্তুতি আগের মতোই থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
এনটি