বুধবার (২৯ মে) দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলমের কাছে বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণভিটা গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা খোকা রায়ের স্ত্রী চাকাই রাণী রায় এ অভিযোগ করেন। অভিযোগটি পাওয়া মাত্র জেলা প্রশাসক সমন্বিত জেলা দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ মরহুম মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী চাকাই রাণী রায় অভিযোগ করেন, ৩ বছর আগে তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা খোকা রায় মারা যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক কমান্ডার কালীপদ রায় স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার চেকবই, জমা রশিদ ও জমা বইসহ সব কাগজপত্র নিয়ে নেয়। কালীপদ স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গত ৩ বছরে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। চেকবইসহ কাগজপত্র ফেরত না দিয়ে মাঝে মধ্যে মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মাসে ২/১ হাজার টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দেন। ভাতার সব টাকা দাবি করলে সাবেক কমান্ডার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার হুুমকি দেন।
মুক্তিযোদ্ধার বিধবা পত্নী চাকাই রাণী রায় অভিযোগে উল্লেখ করেন, এখন তিনি ২ সন্তানসহ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্বামীর ভাতার ন্যায্য টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি সাবেক কমান্ডার কালীপদ রায়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম অভিযোগটির প্রতি গুরুত্বারোপ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দিনাজপুরে কাছে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি পাঠান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
এসএইচ