বুধবার (২৯ মে) দুপুর ২টার দিকে জিরাবোর ঘোষবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয়রা মহাসড়কটি প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন এবং কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় মহাসড়কটি দুইপাশে প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত নুর আলম দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার কৈফতি গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। জিরাবোর ঘোষবাগ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে ম্যাগপাই গার্মেন্টসে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মোহনা পরিবহনের একটি বাস অন্য বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে নুরে আলমকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসে কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে ও আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
আরএ