সোমবার (২৭ মে) রাতে আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে ইমাম তানভীর আহমদকে আটক করা হলেও তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। কারণ গত রাতের দায়ের করা মামলায় তাকেই প্রধান আসামি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাকে আদালতে নেওয়া হবে।
এদিকে সোমবার রাতে গ্রামের বাড়ির স্থানীয় মাঠে নিহত আবিদার নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে আবিদার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রোববার (২৬ মে) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আবিদা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে হত্যা করে ঘরে বন্দী করে রাখা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার পর আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদ (৩০) পালিয়ে যান। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির বরুনা এলাকা থেকে তানভীরকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এর আগে তানভীরের মা ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
আরএ