গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৭ মে) রাত রাত ১১টার দিকে ওই যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে স্বর্ণ পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন আনুমানিক সোয়া ১০ কেজি।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গাপুর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের SQ446 ফ্লাইটে আসা আটক ব্যক্তির নাম মো. আব্দুস সালাম (৪৮)। তার পাসপোর্ট নম্বর বিওয়াই ০০৩৬৭২৪। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। তিনি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
সালামকে আটক করার বর্ণনায় কর্মকর্তারা বলেন, তিনি প্লেন থেকে নামলে তাকে বোর্ডিং ব্রিজ থেকেই অনুসরণ করা হয়। পরবর্তীতে এ যাত্রী গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করলে তার কাছে কোনো শুল্ক করারোপযোগ্য পণ্য আছে কি-না জানতে চাওয়া হয়, কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। এরপর আর্চওয়ে মেশিনের মাধ্যমে চেকিং করা হলে তার পরিহিত প্যান্টের মধ্যে ধাতব পদার্থের সংকেত পাওয়া যায়। এরপর তার প্যান্টের বিভিন্ন অংশ থেকে লুকায়িত অবস্থায় সাদা রঙের স্কচটেপে মোড়ানো দুটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেট দু’টিতে ১০৩টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়, প্রাপ্ত প্রতিটি বারের ওজন ১০০ গ্রাম।
এরপর সালাম লিখিতভাবে জানান যে, ‘এই স্বর্ণের প্রকৃত মালিক এইচ.এম নুরুজ্জামান ওরফে জিকো নামক এক ব্যক্তি, যার বাড়ি ঢাকার খিলক্ষেতে। যাত্রীর মোবাইলে জিকোর ছবি এবং পাসপোর্টের ছবিও পাওয়া যায়। বিমানবন্দরে কর্মরত কোনো এক সংস্থার এক কর্মকর্তা এই স্বর্ণ গ্রহণ করবেন এবং তিনিই জিকোর কাছে এই স্বর্ণ হস্তান্তর করবেন। ’
কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা সালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানান, এই যাত্রী কেবল মে মাসেই পাঁচবার সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করেছেন। আগেও বিমানবন্দরে কর্মরত ওই কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বর্ণ হস্তান্তর করেছেন। তবে সালাম বিমানবন্দরে কর্মরত ওই কর্মকর্তার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
সালামের কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হচ্ছে বলেও জানান কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
টিএম/এইচএ/