কিন্তু এয়ারপোর্ট আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএপিবিএন) কল্যাণে ফিরে পেয়েছেন সেই ব্যাগসহ হারানো অর্থ।
এসব ফেরত পেয়ে হাসি ফুটেছে প্রবাসী শ্রমিক মৌসুমীর মুখে।
এরআগে ভোরে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে (জি-৯ ৫১৭) দেশে পৌঁছেন মৌসুমী। কিন্তু প্লেন থেকে নেমেই বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, তার ব্যাগটি পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ জানায়, প্লেনে সেহেরি কেনার জন্য ব্যাগ থেকে টাকা বের করেন মৌসুমী। এরপর খাওয়া শেষে তিনি ব্যাগটি প্লেনের সিটে রেখে ওয়াশরুমে যান। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আর টাকার ব্যাগটি পাচ্ছিলেন না।
মৌসুমী বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাগে ১০ হাজার সৌদি রিয়ালসহ আরো কিছু বাংলাদেশি টাকা ছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। আমি তিনবছর পর দেশে ফিরছি।
‘অনেক কষ্টে উপার্জিত টাকা। প্লেনে হারিয়ে যায়। এতে আমি খুবই ভেঙে পড়ি। কিন্তু এগুলো আবার ফেরত পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। ’
তিনি বলেন, পুলিশ আমার রক্ত পানি করা টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমার পাশের যাত্রীই ব্যাগটি নিয়ে যায়। পুলিশ তাকে তল্লাশি করে সেটি উদ্ধার করেছে। অথচ তাকেই কিনা আমি নিজের টাকায় সেহেরি কিনে খাইয়েছি।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ পেলেই যাত্রীদের জিনিসপত্র উদ্ধার করে দিই। এরই ধারাবাহিকতায় মৌসুমীর টাকার ব্যাগটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাগটি তার হাতে তুলে দিতে পেরে আমরাও বেশ আনন্দিত।
বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধে প্রতিনিয়ত নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। এরপরও যেকোনো ধরনের হয়রানি বা সমস্যায় পড়লে যাত্রী সাধারণকে সরাসরি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এমএমআই/এমএ