সোমবার (২৭ মে) দু’দিন ব্যাপী অভিযানের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে জব্দ করা বালু ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম-পরিচালক সাইফুল হক, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম রেজা, নূর হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, ফতুল্লা লঞ্চঘাট থেকে দাপা পর্যন্ত নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় একটি তিনতলা ভবন, দুটি একতলা ভবন, ১৫টি আধা পাকা ভবন, ৩৯টি টিনশেড ঘর, তিনটি বাউন্ডারি দেয়ালসহ সর্বমোট ৬০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া এক একর জমি অবমুক্ত করা হয়েছে। অভিযানে জব্দ করা বালু ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে কেরানীগঞ্জের কান্দাপাড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ-এর অনুমোদন ছাড়াই বুড়িগঙ্গা নদীর ৩০০ ফুট অভ্যন্তরে বক্স কালভার্টের মাধ্যমে ব্রিজ (সেতু) নির্মাণ করছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার ওই সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর জানান, নদীর নির্ধারিত সীমানার অভ্যন্তরে যারা অবৈধভাবে নদী দখল করেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বুড়িগঙ্গার তীরে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এর আগে অভিযানের প্রথম দিন রোববার (২৬ মে) ফতুল্লার বালুর ঘাট থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এ সময় জব্দ করা বালু ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
আরআইএস/