ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চারদিনের নবজাতককে হাসপাতালে রেখে মা উধাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
চারদিনের নবজাতককে হাসপাতালে রেখে মা উধাও শেবাচিম হাসপাতাল

বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু বিভাগের নবজাতক ইউনিটে চারদিনের এক শিশু সন্তানকে ফেলে রেখে উধাও হয়ে গেছেন মা।

তবে অভিভাবক না পেয়েও শিশুটির চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশুটির দেখভাল করছেন ওয়ার্ডের সেবিকা ও আয়ারা।

 

শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স মাহফুজা আক্তার জানান, গত ২১ মে এক নারী হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওই দিনই সিজারিয়ানের মাধ্যমে তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন।  

তবে শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে নবজাতক ইউনিটে পাঠানো হয়। শিশুটিকে নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করার পর মা পালিয়ে গেছেন। তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।  

তিনি বলেন, মা ও শিশু দু’জন দুই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে প্রথমে বিষয়টি টের পাওয়া যায়নি। তবে ২৬ মে রোববার নবজাতকের মায়ের খোঁজ করা হলে তার না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-মা শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন।  

হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীরা জানান, নবজাতক কন্যাকে রেখে মায়ের পালানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় নবজাতক ইউনিটে।  

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, আমাকে রোববারই বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তারা শিশুর মায়ের খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টাও করেছেন, কিন্তু পাননি। তাই শিশুটিকে আগৈলঝাড়ায় ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সমাজ সেবা কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার রইচি বলেন, শিশুটির মা ভর্তির সময় তার গ্রামের বাড়ি বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে লিখিয়েছেন। ওই ঠিকানায় লোক পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে। যতটুকু বোঝা যাচ্ছে ওই ঠিকানা সঠিক নয়। ভর্তির সময় একটি মোবাইল নম্বরও রাখা হয়েছে। যা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ভর্তির রেজিস্ট্রারে স্বামীর নাম উল্লেখ করা নেই।  

তিনি বলেন, বর্তমানে শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ আছে। তাই আমরা শিশুটিকে আগৈলঝাড়া বিভাগীয় ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময় ১৬২০ ঘণ্টা, মে ২৭,২০১৯
এমএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।