জানা যায়, রাজধানীর বহির্গমন পথগুলোতে যানজট কমাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এছাড়া গত ১৫ দিন ধরেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সড়কের ভাঙাচোরা স্থানে জোড়াতালির ও ওভারলের কাজ চলছে জোরে সোরেই।
সরেজমিনে সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, বলিভদ্র এলাকা থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশে সংস্কার কাজে ব্যস্ত রয়েছে সওজ’র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকেরা। মহাসড়কের বলিভদ্র বাজার, বাইপাইল, পলাশবাড়ি, পল্লীবিদ্যুৎ ও নবীনগর এলাকায় চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ। ইতোমধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়কগুলোর মধ্যে নবীনগর-চন্দ্রা চারলেন বিশিষ্ট মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক সময়েও দৈনন্দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই সড়কে বাস ও ভারী যানবাহন চলে। ফলে বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। কোথাও বিটুমিন উঠে যায় আবার কোথাও সড়ক দেবে গিয়ে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়। এ কারণে এবার ঈদে যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য সড়কটি সংস্কারের কাজ চলছে।
সড়কে কর্মরত শ্রমিকেরা বাংলানিউজকে জানায়, তিন মাস আগে থেকে দিনভর সড়কে পিচ ঢেলে ওভারলে ও মেরামতের কাজ চলছে। সড়কের যেসব অংশ দেবে গেছে সেখানে নতুন করে পিচ ও কনক্রিট মিশিয়ে ওভারলে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নয়ারহাট শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল্লা ভূঁইঞা বাংলানিউজকে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাস্তায় দুই ইঞ্চি পরিমাণ ওভারলে করা হচ্ছে। গত তিন মাস ধরে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ঈদের ১৫ দিন আগে থেকে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। এবার ঈদে ড্রাম ট্রাকগুলো ৩০ টনের উপরে কোনো পণ্য বহন করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এনটি