ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খালেদার রিটে পক্ষভুক্ত দুদক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
খালেদার রিটে পক্ষভুক্ত দুদক খালেদা জিয়া/ফাইল ফটো

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করে সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে করা রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের আদেশে সোমবার (২৭ মে) দুদককে পক্ষভুক্ত করা হয়।
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহামদ, এ জে মোহাম্মদ আলী।


 
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
 
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, যেহেতু নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দুদক করেছে, সেহেতু এ মামলা সংক্রান্ত রিটে দুদককে পক্ষভুক্ত করার জন্য আজ আদালতে মৌখিকভাবে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা (খালেদার আইজীবী) বলছে- মামলাতো চ্যালেঞ্জ করেনি। করেছে আদালত স্থাপনের গেজেট চ্যালেঞ্জ। আমরা বলেছি- ওই আদালতের মামলা দুদকের করা। তাই পক্ষভুক্ত করার আবেদন করেছি। এরপর আদালতের আদেশে তারা দুদককে পক্ষভুক্ত করে রিটের অনুলিপি সরবরাহ করেন।
 
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, আদালত বলছে- রিটটি মঙ্গলবার (২৮ মে) শুনানির জন্য কার‌্যতালিকায় শীর্ষে থাকবে।
 
এর আগে রোববার (২৬ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়।
 
রিটে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নম্বর ভবনে স্থানান্তরে জারি করা গত ১২ মের গেজেট কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এ রুল জারির আবেদনের পাশাপাশি ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
 
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
 
এর আগে ২১ মে ওই গেজেট বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
 
ওইদিন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
‘সেই প্রজ্ঞাপন খালেদা জিয়া ও আমরা তার আইনজীবী হিসেবে বেআইনি বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধান বিরোধী। পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধিতে (সিআরপিসি) স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে যে, কোথায় কোথায় আদালত স্থানান্তরিত হতে পারে। ওই সিআরপিসির ৯(২) উল্লেখ নেই কারাগারে কোর্ট স্থাপিত হতে পারে। সে জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গেজেট উইথড্র না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। ’
 
এ নোটিশের জবাবে না পেয়ে রিট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad