সোমবার (২৭ মে) সকালে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত-৩ এর বিচারক এমদাদুল হক রিপন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- অসিম রেজা (৩২), মোস্তাক আহম্মেদ ওরফে মেজরা (৩৫), শরীফ দুলাল ওরফে সেতু (৩৬), সাখাওয়াত হোসেন (৪০), মীর কাশিম ওরফে সাহেব (৪৮), মো. লাভলু (৫০), ভকত আলী (৪২) ও আমিনুল ইসলাম।
এদের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মালিগাছা ও ধরমপুর গ্রামে। এরা সবাই বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ মামলায় এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা ২২ জন। সম্প্রতি কয়েক দফায় আরো ১৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোমবার সকালে আত্মসমর্পণ করার পর কারাগারে গেলেন বাকি আট আসামি। এখন পর্যন্ত মামলায় ২২ জন আসামিই কারাগারে গেলেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এজাজুল হক মানু জানান, সোমবার যেসব আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তারা উচ্চ আদালত থেকে দুই সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত ইসমাইল হোসেন দেওপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালপুর ভোটকেন্দ্র দখল নিতে গেলে সহিংসতায় নিহত হন ইসমাইল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এসএস/আরবি/