ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিদেশি মোড়কে চকবাজারের পণ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
বিদেশি মোড়কে চকবাজারের পণ্য ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের বাজার মনিটরিং টিম

ঢাকা: বিদেশি মোড়কে বাজারজাত করে বিক্রি করা হচ্ছে রাজধানীর চকবাজারে তৈরি পণ্য। ঈদ সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন প্রতারণার সন্ধান পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের বাজার মনিটরিং টিম।

রোববার (২৬ মে) এক অভিযানে রাজধানীর গুলশানের পিংক সিটি শপিং মলের একাধিক দোকানে এসব পণ্যের সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়াও আমদানিকারকের স্টিকারবিহীন বিদেশি পণ্য বিক্রয়, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভোক্তাকে যথাযথ সেবা না দেওয়া এবং জুয়েলারি দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার চিত্র দেখতে পান তদারকি দল।

 

এসব অপরাধে পিংক সিটির ২৬টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা এবং সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।

অভিযানে সেলিব্রেশনকে ৫০ হাজার,  জেমস গ্যালারিকে ৫০ হাজার, পরী শাড়িকে ১০ হাজার,  ভিবা বাড়িকে ১০ হাজার, সাবরিনাকে ১০ হাজার,  স্রোতধারাকে ১০ হাজার,  মানা বিকে ১০ হাজার, নিডেন ওয়ার্ককে ১০ হাজার, কুন্দনকে ১০ হাজার, রেইনবো পারফিউম অ্যান্ড কসমেটিক্সকে ১০ হাজার,  ডানহিল অপটিক্সকে ১০ হাজার,  কিডস ওয়েকে ১০ হাজার, হীরা ফেব্রিক্সকে ৫ হাজার, গোল্ডেন ওয়াল্ডকে ১০ হাজার, অঞ্জলি জুয়েলার্সকে ১০ হাজার, সাবিহা ফ্যাশন ১০ হাজার, ভিভো ১০ হাজার, সিমরান ডিজাইনারকে ৫ হাজার,  গয়না ঘরকে ৫ হাজার,  স্টাইল ওয়ার্ল্ডকে ২০ হাজার,  আব্রুজ ৫ হাজার,  পরিণীতা গোল্ডকে ১০ হাজার, কিওর জুয়েলার্স ১০ হাজার, বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার,  শোভা ফেব্রিক্সকে ১০ হাজার, ডালিমসকে ১০ হাজার টাকাসহ ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।  

এবিষয়ে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে একদল অসাধু ব্যবসায়ীরা এমনটা করছেন। বিদেশি পণ্যের মোড়কে জড়িয়ে দেশেই বানানো নকল পণ্য বিক্রি করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব পণ্য পুরান ঢাকার চকবাজারে বানানো। একটি খেলনার দোকানে আমরা এমন কিছু খেলনা পেয়েছি যা বিক্রেতা বিদেশি বলে বিক্রি করছেন কিন্তু সেগুলো এখানেই বানানো। এমন কাজ গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। এছাড়াও মূল্য তালিকা প্রদর্শিত অবস্থায় না থাকা এবং গ্রাহকদের যথাযথ সেবা না দেওয়ার অপরাধে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

পাশাপশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আরেকটি দল কাজীপাড়ায় ফুলকলি মিষ্টির দোকানে পুরনো মিষ্টি বিক্রি হওয়ার সন্ধান পান। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিনের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম দোকানটিতে অভিযান পরিচালনা করলে পুরনো মিষ্টি আজকের তারিখ দিয়ে বিক্রির সত্যতা পান। বাজার মনিটরিং দলের কাছে বিষয়টি ফুলকলির কর্মকর্তারা স্বীকার করেন বলেও বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন এ কর্মকর্তা।  

এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে কাজীপাড়ার মুসলিম সুইটসের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও পচা বেগুন দিয়ে বেগুনিসহ বিভিন্ন ইফতারি পণ্য বিক্রির সন্ধান পান। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৬,২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।