উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোকলেচ আল-আমিন বাংলানিউজকে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাল সরবরাহের জন্য সংগ্রহের নীতিমালা অনুসারে তিনটি অটোসহ ৭৮টি মিলের বিপরীতে তালিকা জেলা থেকে গত বছরের রেকর্ড অনুসারে বিভাজন করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেখেন তালিকার ৭৮টি মিলের মধ্যে ২৩টি মিলের অবকাঠামো ঠিক থাকলেও তারা চাল উৎপাদন করছে না। এছাড়া গুটি কয়েক হাসকিং মিলের চিমনি আছে। তখন উপজেলা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় যেসব মিলের অবকাঠামো আছে কিন্তু সচল নাই তাদের কাছ থেকে চাল নেওয়া হবে না।
এছাড়া যেসব মিল সচল আছে কিন্তু চিমনি নাই তাদের মিলে চিমনি না লাগানো পর্যন্ত চাল নেওয়া হবে না। তিনি আরও জানান, বাদ পড়া ২৩ মিলের মালিকগণ উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত না নিয়েই জেলার বিভাজনের ভিত্তিতে নির্ধারিত জামানত (বিডি) করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় অটোমিল এবং যেসব মিলে চিমনি আছে তাদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে গত ১২ মে।
এদিকে, বিধি মোতাবেক জামানত (বিডি) দেওয়ার পরও চাল না নেওয়ায় বাদপড়া ২৩ মিলারদের পক্ষে নাটোর সহকারী জজ আদালতে গত ২১ মে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নাটোরের জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।
বাদপড়া ২৩ মিলের মধ্যে মামলার এক নম্বর বাদী জনতা চাল কলের মালিক আবু সাঈদ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, আমার মিল আছে, ধান ছিল না তাই সচল ছিল না। ধানের মৌসুম শুরু হয়েছে মিল চালু হবে। তাহলে কেন আমাদের বাদ রাখা হবে। জেলা থেকে বিভাজন করেছে, আমরা বিডিও করেছি।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা খাদ্য কমিটি চাল সংগ্রহ নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।
সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এবারের মতো বিষয়টি মেনে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা রাখলেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা খাদ্য কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, চাল সংগ্রহ নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে উপজেলা কমিটির অনুমোদনের আগেই যদি কোনো মিল মালিক জামানত (বিডি) করে থাকে তাতে আমাদের কিছু করার নাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এনটি