ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সাতক্ষীরায় ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
সাতক্ষীরায় ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে পুতে রাখা ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই দুই তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষের প্রতিনিধি এবং সদর ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী।

 

জেলা প্রশাসক জানান, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

অপরদিকে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলী জানান, তার নির্দেশে একই বিষয়ের ওপর তিন সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউরোলজি বিভাগের ডা. রুহুল কুদ্দুসকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন ডা. প্রবীর কুমার বিশ্বাস ও ডা. আক্তারুজ্জামান। এ কমিটিকেও আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  

এদিকে, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেফটি ট্যাংকের কাছে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ওষুধের স্যাম্পল পুলিশ নিয়ে এলেও প্রায় সব ওষুধই এখনো সেখানে পড়ে রয়েছে। কয়েকজন আনসার সদস্য এলাকাটি ঘিরে রেখেছেন।  

এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ওষুধ চুরির ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে তা প্রত্যক্ষ করার পর সেসব ওষুধ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হবে।  

অন্যদিকে, হাসপাতাল চত্বরে মাটিতে পুঁতে রাখা ওষুধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহজাহান আলী বলেন, উদ্ধার হওয়া কোনো ওষুধের গায়ে সরকারি সিল নেই। এতে লাল সবুজ চিহ্নও নেই।

এ ওষুধ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোরের নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যে গজ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করি তা থান কাপড়ের তৈরি। অথচ যা পাওয়া গেছে তা কাগজের। তাছাড়া স্টোরে থাকা কোনো ওষুধ খোয়া যায়নি বলে আমি স্টোর কিপার আহসান হাবিব ও স্টোর অফিসার বিভাস চন্দ্রর কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়েছি।  

তিনি আরও বলেন, ওষুধ ক্রয় বা গ্রহণের পর তা সার্ভে কমিটি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করানো হয়। সেসব তালিকা অনুসরণ করলে পরিষ্কার হবে যে এ ওষুধ সরকারি নয়। এমনকি স্টোর থেকেও তা খোয়া যায়নি।  

এদিকে, সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক ওষুধ চুরির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখিছেন, অতিদ্রুত তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইন আমলে আনতে হবে। সরকার ওষুধ দেয় বিনামূল্যে রোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ এ ওষুধ বিক্রি করে খায়। তিনি তাদের দেশের শত্রু বলে উল্লেখ করেন।

শনিবার (২৫ মে) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সেফটি ট্যাংকের পাশে বিশেষভাবে পুতে রাখা অন্তত ১০ বস্তা সরকারি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃষ্টির পানিতে ভেসে ওঠে। এরপর জেলাজুড়ে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। দাবি ওঠে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।