ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ১০ আসামিই খালাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
মাদ্রাসাছাত্র হত্যা মামলায় ১০ আসামিই খালাস

খুলনা: যশোরের চৌছাগায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মারুফ হোসেন (১৩) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন খুলনার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল।

রায় ঘোষণার সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাকি তিন আসামি পলাতক।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যশোর জেলার চৌগাছা থানার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মৃত আজেহার আলি মন্ডলের দুই ছেলে মো. হযরত আলি মন্ডল (৫০) ও মো. সুলাইমান মন্ডল (৪৫), হযরত আলি মন্ডলের দুই ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (৩০) ও মো. টুটুল মন্ডল (২৮), মো. গহরের ছেলে মো. আবুল বাশার (৩২), মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. বাবু (২২), মো. ইশারত মন্ডলের ছেলে মো. ইকরামুল হোসেন (৩০), মো. মিজানুর রহমানের ছেলে আযাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো (২৬), কালু বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের শমসের মন্ডলের ছেলে খলিল মন্ডল (৪০)।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেছেন। নিহত মাদ্রাসাছাত্র মারুফ যশোর জেলার চৌগাছা থানার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মো. মহিদুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বাদী নিহত মারুফের মা আবেরুন্নেছা জানান, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আসামি আযাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। এছাড়া মরদেহের ছয় টুকরো করার বিবরণও আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় ওই আসামি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বর্পরাজপুর যাওয়ার কথা বলে মহিদুল ইসলামের কিশোর ছেলে মো. মারুফ হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিন খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। সন্ধ্যার পর লোক মুখে জানা যায় মির্জাপুর গ্রামের হাসেম আলির খেজুর বাগানে মাথাবিহীন হাত-পা কাটা মারুফের মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় নিহত মারুফের মা আবেরুন্নেছা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ১১)।  

২০১৭ সালের ৮ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর সিআইডি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তহিদুল ইসলাম এজহারভুক্ত সাত আসামির সঙ্গে আরো তিনজনকে সংযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট শেখ এনামুল হক ও এপিপি অ্যাডভোকেট শাকেরিন সুলতানা।

বাংলাদেশসময়: ১৮২২ ঘণ্টা,  মে ২৬,  ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।