ধান কেটে, মাড়াই শেষে ধান ও খড় শুকানো হতো এসব কৃষকের বাড়ির আঙিনা অথবা উঠোনে। কিন্তু এসব কাজ এখন হচ্ছে ব্যস্ততম মহাসড়কের ওপর।
নীলফামারী-সৈয়দপুর, নীলফামারী-জলঢাকা, নীলফামারী-ডোমার, নীলফামারী-কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়ক ছাড়াও গ্রামীণ পাকা সড়কের দুই পাশে এখন মহাধুমধামে চলছে ধানমাড়াই ও শুকানোর কাজ। বোরো মৌসুমে মহাসড়কের পাশের বসতবাড়ির লোকজন যে যার মতো সড়ক ব্যবহার করছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা বাড়ির উঠান রেখে সড়কে এ কাজটি করছেন। এছাড়াও উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীর পাকা সড়কে রান্নার কাজে ব্যবহারের লাকড়ি, ভূট্টা, খড় ও অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস শুকাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কে ধান ও খড় বিছানো থাকার কারণে এ অহরহ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পরিবার বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা জানান, বাড়ির আঙিনা ছোট হওয়ায় প্রায় এক একর জমির ধান একসঙ্গে ভাঙানো যায় না। তাই সড়কটি ব্যবহার করছেন। নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন জানান, ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি বহুবার জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
বাসচালক হারুনুর রশীদ গন্তব্যে পৌঁছাতে কর্তৃপক্ষ তাদের একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। অন্যথায় পরদিন ট্রিপ বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু মহাসড়ক দখলে নিয়ে ধান ও খড় শুকানোয় নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চলানো যায় না। বিশেষ করে ধানের ভেজা খড়ের ওপর দিয়ে বাস চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে সময়ের অপচয় হচ্ছে। হয়রানির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সড়কে ধান শুকানো ও মাড়াই বন্ধে মাইকিং করা হয়েছে। প্রয়োজনে বস্তা তুলে আনা হয়েছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাড়ি আঙিনায় ধান শুকানো নিরাপদ তারপরও কৃষকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধান শুকাতে সড়কে আসে এটা ঠিক নয়। রাস্তার ওপর ধান মাড়াই, ধান, খড় শুকানোসহ খড়ের গাদা তৈরির কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে শিগগিরই বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এসএইচ