রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে শেষ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তবে শনিবার (২৫ মে) এর চেয়ে রোববার সকালে কমলাপুরে টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যা অনেকটাই কম।
জানা যায়, শনিবার (২৫ মে) কমলাপুরে অনেকেই টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। শনিবার যারা টিকিট পাননি, রোববার সকালে তারা ফের কমলাপুরে এসে অবস্থান নিয়েছেন। রোববার সকাল থেকে দেওয়া হচ্ছে আগামী ৪ জুনের অগ্রিম টিকিট।
কমলাপুরে টিকিট কিনতে আসা হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি গত শনিবার এসেছিলাম খুলনার টিকিটের জন্য, কিন্তু শেষ দিকে থাকায় টিকিট পাইনি। তাই শনিবার রাত থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি।
রফিকুল ইসলাম নামে অপর এক টিকিট প্রত্যাশী বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, তাই ঈদের আগের দিন থেকে ছুটি এজন্য ৪ জুন বাড়ি ফিরতে চাই’।
সামিয়া সুলতানা শাকী নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ঈদের ছুটি মাত্র তিনদিন। তাই ঈদের আগের দিন গিয়ে পরের দিন আবার ঢাকায় ফিরতে হবে। এজন্য আগামী ৪ জুন বাড়ি যেতে টিকিট কিনতে শনিবার (২৫ মে) মধ্য রাত থেকে কমলাপুর অপেক্ষা করছি’।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উত্তর বঙ্গ-পশ্চিমাঞ্চল ও খুলনা অঞ্চলে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এই ১২টি ট্রেনে মোট ১১ হাজার ৬৯টি টিকিট দেওয়া হবে।
এদিকে রেলওয়ে স্টেশনের শৃঙ্খলা রক্ষায় করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
টিএম/আরআইএস/