ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বিপদসীমার নিচে মনু নদের পানি, জনমনে স্বস্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
বিপদসীমার নিচে মনু নদের পানি, জনমনে স্বস্তি ফাইল ছবি

মৌলভীবাজার: টানা বৃষ্টিপাতে বিপদসীমা অতিক্রমের পর মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদের পানি বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। ফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে নদীপাড় ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের মনে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ১১টার প্রতিবেদনে বলা হয়, মনু রেল ব্রিজ এলাকায় মনু নদের পানি বিপদসীমার ১২০ সে.মি নিচে অর্থাৎ ১৫.৯৬ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদের পানি বিপদসীমার ৯৬ সে.মি নিচে অর্থাৎ ১৭.৮৯ মিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যার পর মনু নদের পানি মনু রেলওয়ে ব্রিজে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও মৌলভীবাজার পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটারে উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ধলাই নদের পানি বিপদসীমা অর্থাৎ ১৮.৮৫ মিটারের উপরে প্রবাহিত হয়। যার ফলে দুই নদের পাড়ের মানুষ ও আশপাশের নিম্নাঞ্চলের বসতিরা আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।

এদিকে মনু নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের তারাপাশা টিলেরপার গ্রামে মনু নদের বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। পরে রাতভর চেষ্টা চালিয়ে বাঁধ টিকিয়ে রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। যার ফলে এ এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

রাজনগর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি রানী চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, আমার এলাকায় বাঁধ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়দের সহায়তায় রাতেই বাঁধটি মেরামত করা হয়েছে। আমি শনিবার সকালে সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেছি। বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় না হলে এখন পরিস্থিতি ভালো আছে।

পানি উন্নন বোর্ডের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র সংকর চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, তারাপাশা এলাকায় বাঁধটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে আমর রাত জেগে বাঁধ মেরামত করি। এখন আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকায় পাহারাদার নিয়োগ আছে।

তিনি আরো জানান, ভারতের কৈলাশহর বা তার আশপাশে বৃষ্টিপাত না হলে আর মনু নদীর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নাই। আপাতত মনু ও ধলাই পাড়ের মানুষ নিরাপদ আছেন।

সংশ্লিষ্ট নিউজ
মনু ও খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।