ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আসন্ন বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
আসন্ন বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: আসছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৫ মে) বিকেলে গণভবনে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আসন্ন অর্থবছরে বাজেটের আকার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু এবার যে নতুন বাজেট দিতে যাচ্ছি, ৫ লাখ কোটি টাকার ওপরে এই বাজেট হবে, ২ লাখ কোটি টাকার ওপর হবে উন্নয়ন বাজেট।  

আগামী ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে এ বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরা হবে বলেও জানান তিনি।  

বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিজের প্রত্যয়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগে সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে একসময় অনেকেই খাবার যোগাড় করতে পারতো না। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ, মানুষ যেন সুন্দরমতো বাঁচতে পারে, মানুষের জীবন যেন অর্থবহ হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জাতির পিতা এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। জাতির পিতার সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

সরকার পুরো দেশকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন পৌঁছে গেছে। প্রতিটি গ্রামের মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা; সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, এদেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। প্রত্যেকটা মানুষ তার মৌলিক অধিকার পাবে। সংবিধানের আলোকে আমরা উন্নয়ন করে যাচ্ছি।  

ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়, মানুষের সেবা করার সুযোগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া। এই বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কেউ থাকবে না।  

এসময় বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

গণভবনের ইফতার মাহফিলে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা এসে এই গণভবনের এই মাটিকে ধন্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।

গণভবনের বিশাল সবুজ লনে নির্মিত প্যান্ডেলে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারে আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এমইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।