নাম বগুড়া রেলওয়ে আদর্শ হকার্স মার্কেট। স্থানীয়দের কাছে ‘গরীবের মার্কেট’ নামে পরিচিত হলেও, ধনীরাও যে আসেন না, তা কিন্তু নয়।
চাঁদরাত আসতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। তার আগেই কেনাকাটার পর্বটা সেরে ফেলতে হবে! তাই, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে কম দামের এ মার্কেটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেলের পর থেকে মার্কেটে ভিড়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এরমধ্যে শুধু ক্রেতা নয়, অনেকে শুধু ঘোরাঘুরি করতেও আসেন। তবে, বেশ কয়েকদিন থেকেই কেনাকাটায় বাগড়া দিচ্ছে আবহাওয়া। টানা তাপদাহে জীবন ওষ্ঠাগত। এরমধ্যেই হঠাৎ করে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠছে আকাশ, ঢেলে দিচ্ছে এক পশলা বৃষ্টি। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন মার্কেটমুখী মানুষেরা। তাই বলে, কেনাকাটা থেমে নেই। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের জিনিস কিনতে মার্কেটের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ছোটাছুটি করছেন অনেকেই।
তারেক নামের এক কলেজছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, এখানে কম দামে ভালো পোশাক পাওয়া গেলেও খুঁজে বের করাটা মুশকিল। এক্সপোর্ট কোয়ালিটির ১শ’ টাকা করে তিনটি টি-শার্ট ও ৫শ’ টাকায় জিন্সের প্যান্ট কিনেছি।
সাবিনা আকতার নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এখান থেকে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কেনা যায়। তবে অনেক পোশাকের ভেতর থেকে পছন্দ করা বেশ কষ্টকর।
তিনি বলেন, ৮শ’ টাকায় দু’টো থ্রি-পিস ও ছোট ভাইয়ের জন্য ২শ’ টাকায় একটি জিন্স সেট কিনেছি।
দোকানি আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এক্সপোর্ট কোয়ালিটির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোলো শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, গ্যাবাডিন কাপড়ের উন্নতমানের পোশাক পাওয়া যায় এখানে, দাম তুলনামূলক কম।
দোকানি আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এটা স্বল্প আয়ের মানুষের মার্কেট। এটা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের পোশাক আনতে হয়।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে বলেও জানান দোকানিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এমবিএইচ/একে