ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তথ্য-প্রযুক্তিতে তরুণরা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে: বাদশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
তথ্য-প্রযুক্তিতে তরুণরা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে: বাদশা বক্তব্য রাখছেন ফজলে হোসেন বাদশা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে তরুণরা বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে তারা কাজ করছে।
 

শনিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন’ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) বিটিটিবি কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাদশা বলেন, কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াশিংটন গিয়েছিলাম।

একটি আইসিটি সেন্টারে গিয়ে দেখলাম, সেখানে সবচেয়ে বেশি কর্মী ভারতের। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশের তরুণরা। মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়েও বাংলাদেশের ছেলেরা কাজ করছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, আইসিটি শিক্ষার আরও প্রসার ঘটাতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহারও বাড়াতে হবে। তবে, খেয়াল রাখতে হবে, প্রযুক্তি দিয়ে আমরা যেন সমাজকে ভেঙে না ফেলি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ‘আইসিটির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্পের’ (দ্বিতীয় পর্যায়) সহকারী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন।

সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর শওকত আলী খান, পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক ড. আফরোজা নাজনীন। অনুষ্ঠানে রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। গত ১৪ মে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণে ৭টি ব্যাচে মোট ২১০জন শিক্ষক অংশ নেন।

এর আগে, শনিবার (২৫ মে) সকালে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মহানগরীর তিনটি স্কুলের বহুতল ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। স্কুলগুলো হলো- অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস হাইস্কুল ও রাজশাহী কোর্ট অ্যাকাডেমি।  

প্রতিটি স্কুলেই নির্মাণ করা হচ্ছে ছয়তলা বিশিষ্ট একটি করে অ্যাকাডেমিক ভবন। প্রতিটির জন্য ব্যয় হবে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর এ কাজের বাস্তবায়ন করছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই স্কুলগুলোর ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।