শনিবার (২৫ মে) সকাল ১১টার দিকে শেখ হাসিনা সেতু এলাকার পোড়া গাঁ ইসলামপুরের বিশাল এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর হোসেনসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনকালে সচিব পবন চৌধুরী এলাকাটি ঘুরে দেখেন।
এসময় তিনি বলেন, এলাকাটি বেশ সুন্দর তবে স্থানটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়কে হলে আরো ভাল হতো। জমির পরিমাণ ১৯৬ একর শোনার পর তিনি তা কমপক্ষে ৫শ’ একর করার প্রস্তাব দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় মানুষের কর্মসংস্থানে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ এ ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।
নির্বাচন পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃস্টির লক্ষ্যে ইকোনোমিক জোন তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়েছে। সে পথ ধরেই বাংলাদেশ সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান সচিব পবন চৌধুরী প্রস্তাবিত ইকোনোমিক জোনের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে ১০টি ইকোনোমিক জোনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা) আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইকোনোমিক জোন আইন, ২০১০-এর ক্ষমতাবলে বেজা প্রতিষ্ঠা করে। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে দেশে ১০০টি ইকোনোমিক জোন তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
আরএ