শুক্রবার (২৪ মে) দিনগত রাত ২টার দিকে নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বড়াইগ্রাম ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় আঘাত হানে এ কালবৈশাখী ঝড়।
ঝড়ের কবলে এসব এলাকায় ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা ও কাঁচা ঘরবাড়ি।
ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সময় বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর এলাকায় লিচু বাগান পাহারারত অবস্থায় বজ্রপাতে আবুল হাসনাত ভুলু নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন রাব্বি (২২) ও রনি আহম্মেদ (২৪) নামে আরও দু’জন। নিহত ভুলু গালিমপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং বাগাতিপাড়ার জনপ্রিয় নাট্যসংগঠন বকুল স্মৃতি থিয়েটারের সহ-সভাপতি।
শনিবার (২৫ মে) বাগাতিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মইনুল বাংলানিউজকে বজ্রপাতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশে আবু হাসনাত ভুলুর একটি বাগানে লিচু পাহারা দিতে গিয়ে তারা তিনজন বাঁশের তৈরি মাচায় বসে ছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে তারা সবাই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভুলুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত হন রাব্বিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। রনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে- সিংড়া উপজেলার সোনাপুর, নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর, ভট্রপাড়া, পিপরুলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। দুপুরের দিকে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় ভট্রপাড়া গ্রামের কালাম প্রামাণিক, আজিদা বেওয়া, আব্দুল লতিফ প্রামাণিক, রাশেদ ও লতিফ শেখের বাড়ি বটগাছের নিচে চাপা পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ের কারণে গাছপালা ভেঙে আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্যান্য ফসলের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কারণ অধিকাংশ ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা খোঁজ-খবর রাখছেন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে মেইন লাইনসহ বেশ কিছু বৈদ্যুতিক লাইনের ক্ষতি হয় এবং চারটি খুঁটি ভেঙে যায়। সকাল থেকে মেরামত কাজ চলছে। চারটি খুঁটি পুনরায় স্থাপন করে মেইন লাইন চালু করা হয়েছে।
বিকেলের মধ্যে সমস্ত লাইন চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
জিপি