কারিগরি শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্র নিয়ে শনিবার (২৫ মে) মিরপুরে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (এসআইএমটি) আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সেমিনারে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের (স্টেপ) পরিচালক এবিএম আজাদ, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন মোল্লা এবং বিভিন্ন শিল্প থেকে আসা প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
জাপানে কারিগরি শিক্ষায় পাঁচ বছরের কোর্স করার পর অন্তত ২০টি কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব আসে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, আরো দুই বছরের অ্যাডভান্স কোর্স করলে গড়পড়তা ১২০টি কোম্পানি প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমাদের দেশে চিত্র ভিন্ন।
শিল্প কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরস্পরের মধ্যে আস্থাহীনতার কারণে এমন অবস্থার তৈরি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আস্তে আস্তে সেই আস্থাহীনতা দূর হচ্ছে।
কারিগরি শিক্ষার কোর্স কারিকুলাম আরো দ্রুত আপডেট করার জন্য তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। যাতে দ্রুতই তাদের কাছে যাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প জাম্প করবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকেও প্রস্তুতি নিতে হবে।
স্টেপ প্রকল্প পরিচালক এবিএম আজাদ বলেন, শিক্ষা গ্রহণ শেষে যাতে সম্মানজনক কর্মজীবনে যেতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়ন উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আগে ইন্ডাস্ট্রি ও ইনস্টিটিউট আলাদা ছিল, কোনো লিংকেজ ছিল না। ফলে চাকরি হতো না। ইউরোপের দেশগুলোতে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যে সম্পর্ক নেই। কাজের যেন কোনো অভাব না হয়, এটাই হবে লক্ষ্য।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে গিভ অ্যান্ড টেক সম্পর্ক থাকতে হবে। চাকরির বাজারের জন্য উপযোগী করতে হবে শিক্ষার্থীদের। কারিগরি শিক্ষার সিলেবাস তৈরি হচ্ছে সে লক্ষ্য সামনে রেখেই। ইন্ডাস্ট্রিতে কী রকম লোকবল দরকার তার উপর ভিত্তি করে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য সিলেবাস প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।
‘ডিসেন্ট প্লেসমেন্ট ইন দ্যা কনটেস্ট অব ইনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে সাইক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেলী ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রুপের উপদেষ্টা শামস-উজ-জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস