শনিবার (২৫ মে) সকালে বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ ঝড়ে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এর মধ্যে সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া দক্ষিণপাড়া, পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া, মির্জাপুর, গুজিহাটি ও পিসি ডেমা এলাকায় প্রায় ৫০টি আধাপাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়।
ওই গ্রামের কাড়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কাড়াপাড়া গ্রামের রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে যায়। এছাড়া কচুয়া, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মোরেলগঞ্জের পুটিখালী ইউনিয়নে বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছগাছালি।
নিবাস বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ভোরের দিকে হঠাৎ শব্দ শুনে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠি। দ্রুত ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখি সব কটি মুরগির ঘরের ওপর গাছ পড়ে ভেঙে পড়েছে। আমার থাকার ও রান্নারঘরও ভেঙে গেছে। প্রতিবেশী তাপস ও বিকাশের ঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কাড়াপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহীল বাকী বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ ঝড়ে রাস্তার ওপরের চারটি রেইনট্রি উপড়ে পড়েছে। এতে রাস্তার অর্ধেক ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য শেফালী বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ের খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। কয়েকটি কাঁচাপাকা ঘর, রাস্তা ও বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারও কারও টিউবওয়েলও ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া প্রয়োজন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তপন কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
জিপি