ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘মোবাইল কোটা নট অ্যাভেইলেবল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
‘মোবাইল কোটা নট অ্যাভেইলেবল’ কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ট্রেনের টিকিট কাটার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘রেল সেবা’ নামে মোবাইল অ্যাপটি বেশ কয়েকদিন আগেই চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু সেই অ্যাপসে কি কেউ টিকিট কাটতে পারছেন বা পেরেছেন? প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ সূচক মন্তব্য পাওয়া লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

ঈদে বাড়ি ফিরতে অগ্রিম টিকিট কিনতে যারাই কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছেন, তার অধিকাংশই অনলাইনে টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয়েই এসেছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হোসাইন সাগর নামে এক ব্যক্তি বলেন, ২২ মে (বুধবার), যেদিন টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই অনলাইনে ও অ্যাপসে টিকিট কেনার চেষ্টা করেছি, বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েই লাইনে দাঁড়িয়েছি।

তিনি বলেন, প্রথম দিকে যখন অ্যাপসে টিকিট কাটার চেষ্টা করি, তখন লগইন-ই করতে পারিনি। শুক্রবার ফের চেষ্টা করলাম, তখন দেখাচ্ছিলো, ‘মোবাইল কোটা নট অ্যাভেইলেবল’। রেলওয়ের এমন সেবায় ক্ষুব্ধ অনলাইনে টিকিটপ্রত্যাশীরা।

শুধু তাই নয় অ্যাপসে রেলের টিকিট কাটার ভোগান্তির অভিযোগ পেয়ে গত ২২ মে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম সিএনএসের সার্ভাররুমে হানা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিম।

এসময় দুদক কর্মকর্তারা অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কাটার ভোগান্তির কথা বললে সিএনএসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সার্ভার ডাউনের নামে সিএনএস টিকিট কালোবাজারি করলে কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি জানান দুদক কর্মকর্তারা।

এদিকে শনিবার (২৫ মে) সকালে কমলাপুরে যারা টিকিট কিনতে এসেছেন, তাদের অনেকেই অনলাইনে টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয়েই এসেছেন। আর কাঙ্ক্ষিত টিকিট কিনতে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা ধরেও অনেকে অপেক্ষা করছেন।

কমলাপুরে এদিন দেওয়া হচ্ছে ৩ জুনের টিকিট। সকাল ৯টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নির্ধারিত ৯টি কাউন্টারে একযোগে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। দুপুর গড়িয়ে গেলেও টিকিটের জন্য লাইনে ছিলো বেশ দীর্ঘ।

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিম জনপদ ও খুলনা অঞ্চলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এই রেলস্টেশন থেকে ১২টি ট্রেনের প্রায় ১৬ হাজারের কিছু বেশি টিকিট দেওয়া হবে। ২৬ হাজার ৭শ’ টিকিটের মধ্যে বাকিটা অনলাইনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী পদ্মা এক্সপ্রেস, রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার ৬৯টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ