ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মেঘনা-গোমতীতে নেই যানজট, চালক-যাত্রীদের স্বস্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
মেঘনা-গোমতীতে নেই যানজট, চালক-যাত্রীদের স্বস্তি

নারায়ণগঞ্জ: বহুল প্রতীক্ষিত মেঘনা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট একেবারে নেই বললেই চলে। সেতুটি হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবার আর ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার পথে মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হবে না বলে আশা করছে চালক-যাত্রীরা। 

শনিবার (২৫ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় সাত মাস আগে দ্বিতীয় কাঁচপুরসহ এ নতুন দু’টি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হতো দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে, সেখানে একেবারেই ফাঁকা এ সড়কটি। এখানে শুধুমাত্র টোল আদায়ের সময়টুকু ছাড়া আর কোনো জটলাও নেই।

জানা যায়, প্রতিবছর ঈদসহ বড় কোনো ছুটি এলেই বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এ সড়কে। এ যানজট ছাড়িয়ে যায় কাঁচপুর সেতু ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কেও। গত বছর রমজানের শেষ দিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপে এ যানজট ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত চলে আসে। তবে এবার আর সে ধরনের কোনো সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। মেঘনা সেতু।  ছবি: বাংলানিউজবাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীর ওপর ১২টি স্প্যানের ৯৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের দ্বিতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে চলে ৪১তম মাসে এসে শেষ হয় সেতুটির নির্মাণ কাজ।

এ পথে চলাচল করা যাত্রী কলিমুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতি সপ্তাহে ঢাকা আসি ব্যবসায়ীক কাজে। আগে তো এ সড়কটি পার হতেই সময় লাগতো কয়েক ঘণ্টা। ঈদের আগে তো এক স্থানেই কয়েক ঘণ্টা পার করে দিতে হতো আমাদের। আজকে সেতু চালু হবার পর তো মুহূর্তেই পার হয়ে এলাম। এবার আর ঈদে যানজট সমস্যা আমাদের ভোগাবে না বলে আশা করছি।

সৌদিয়া পরিবহনের বাসচালক বিল্লাল বাংলানিউজকে বলেন, সেতু চালু হওয়ায় এক টানে চলে আসছি ঢাকা। আগে তো যেতে-আসতে আমাদের অনেক সময় লাগতো। এমনও দিন গেছে, আমরা সড়কেই ইফতার ও সেহরি করেছি। এবার আর গতবারের মতো কোনো যানজট থাকবে না বলে আশা করা যায়।

স্থানীয় সূত্র মতে, জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। গোমতী-মেঘনা এ দুই সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। নিত্যদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছিলো। বিগত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে চলমান এ ভোগান্তির অবসানে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় গোমতী-মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্ল্যা তাসনিম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর আমরা এ যানজট নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশের সহায়তা নিয়ে থাকি। এ বছর এ সেতু ও কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু থাকায় আর কোনো যানজট সমস্যা থাকবে না বলে প্রত্যাশা করি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।