শনিবার (২৫ মে) সকালে জাতীয় কবির সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঢাবির উপাচার্য এ মন্তব্য করেন।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু প্রথমে যে সিদ্ধান্ত নিলেন সেটি হলো নজরুলকে সমমর্যাদায় এবং একইভাবে তাকে নিজ মহিমায় আসীন করে ঢাকাতে আনা।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, নজরুলেরও মহান স্রষ্টার কাছে একটি প্রত্যয় ছিল মসজিদের কাছে সমাহিত করা। আমার মনে হয় নজরুলের প্রার্থনা সেটি বোধ হয় মহান সৃষ্টিকর্তা পূরণ করেছেন বঙ্গববন্ধুর মাধ্যমে। তখন তিনি যদি নজরুলকে কলকাতা থেকে ঢাকা না আনতেন, তাহলে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে এই সুন্দর সুশোভিত সৌন্দর্য্যময় প্রকৃতির মধ্যে তিনি এখন সমাহিত হতেন না। সেই কাজটি সম্ভব হয়েছে জাতির জনক কলকাতা থেকে নজরুলকে ঢাকায় এনেছিলেন বিধায়।
শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যে কবির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি তার পেছনে একটি মৌলিক চেতনা থাকে। সেটি হলো নজরুলের উদার নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা। যেটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই চেতনা ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারণ করলে তাদেরকে আরও শাণিত করবে সেই প্রত্যাশা আমরা রাখবো। মানবিক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রাষ্ট্র বিণির্মাণে নজরুলের যে দর্শন আমরা যতই ধারণ করবো, ততই আমরা মানবিক উদারনৈতিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
কবি নজরুলের ১২০ তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিস্থলে ঢাবির বিভিন্ন হল, বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
** জাতীয় কবি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সুযোগ নেই: হানিফ
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসকেবি/এএটি