সেদিন দুর্ঘটনার পর প্রথমে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দিদারুলের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার তেচ্ছিফুল সিকদার পাড়ায়।
শুক্রবার মুমূর্ষু অবস্থায় দিদারকে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার সময় ঢাকার নারায়ণগঞ্জ এলাকায় মৃত্যু হয়।
রোববার (১২ মে) বিকেলে কক্সবাজারের রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার আদর্শগ্রাম মুছতলী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে সম্পূর্ণ উল্টে যায় ইটভর্তি একটি পিকআপভ্যান। সেটির নিচে চাপা পড়েন চালক দিদারুল।
চাপা পড়া দিদারুল আলম কান্নারত অবস্থায় বাঁচার জন্য বারবার আকুতি জানাচ্ছিলেন পথচারীদের কাছে। কিন্তু সাধারণ পথচারীদের পক্ষে তাকে বের করা সম্ভব হচ্ছিলো না। পরে তারা খবর দেয় ফায়ার সার্ভিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
কিন্তু সেদিন উদ্ধারকারীরা দিদারুলের অবস্থা শংকামুক্ত বলে জানালেও ১২ দিন পর মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন দিদারুল। পরিবারের পক্ষ থেকে দিদারুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসবি/এএ