সদা হাস্যজ্জল এ যুবকের জীবন তিলে তিলে হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। আর এখন অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করতে না পারায় জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণ অতিবাহিত করছেন।
নূরের বয়স যখন ১২ বছর তখন তার বাবা-মা তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে তারা নূরের খোঁজ-খবর নেননি। কাছের মানুষ বলতে একমাত্র নানাই ছিল তার আশ্রয়। নানার অসচ্ছল পরিবারে বেড়ে উঠেন নূর। পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও নানা প্রতিবন্ধকতা তার স্বপ্নকে কেড়ে নেয়।
নানা-নানির কষ্ট দেখে এলাকার একটি থাই গ্লাসের দোকানে কাজ শুরু করে নূর। এতেও যেন বিধি বাম। আট মাস আগে কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার কোমরের হাড় বেঁকে মূত্রনালী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে করে স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাব করা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে কোনো রকমে বিছানায় শুয়ে-বসেই দিন কাটছে তার। খুব কষ্টে হাঁটাচলা করছেন তিনি।
কৃত্রিমভাবে প্রস্রাব করানোর জন্য তার পেটে আলাদা পাইপ ঢুকানো হয়েছে। প্রতি মাসে নতুন পাইপ লাগাতে হয়। এতে খরচ হয় দুই হাজার টাকা।
নূরের নানা জামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিমাসে পাইপ লাগানোর খরচ জোগাতেও হিমশিম খেতে হয়। যতটুকু পারি চিকিৎসা করিয়েছি। অপারেশন করার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিতে বলেছেন। এজন্য এক লাখ টাকার প্রয়োজন। যা জামরুল ইসলামের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের হৃদয়বানদের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
নূরকে সাহায্য পাঠাতে জামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে (০১৭৫৪৩২৯০৯৬) যোগাযোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
জিপি