শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন এবং প্রণব কুমার প্রামাণিক এতে নেতৃত্ব দেন।
এসময় চকবাজার এলাকায় রুদ্র কসমেটিক্সকে ৫০ হাজার টাকা, আলম এন্টারপ্রাইজকে এক লাখ টাকা, এ রহিম অ্যান্ড সন্সকে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স তানভীর ব্রাদার্সকে ৩০ হাজার টাকা, নুর ট্রেডিংকে ৫০ হাজার টাকা এবং মাহাদিয়া এন্টারপ্রাইজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে দোকানগুলো থেকে বিদেশি ব্র্যান্ডের মোড়কে থাকা কসমেটিক্স পণ্যের সন্ধান পায় বাজার মনিটরিং দল। তবে সেগুলো আমদানির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও পণ্যগুলোর মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদের তারিখসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য সম্বলিত লেবেল পাওয়া যায়নি বলে বাংলানিউজকে জানান অভিযানে থাকা কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের অবশ্যই বৈধ কাগজপত্র থাকবে। এছাড়াও এগুলোর গায়ে বা মোড়কে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের সময়সীমাসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্যের উল্লেখ থাকবে। কিন্তু এসব পণ্য বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের কাছে আমদানির কাগজপত্র এবং পণ্যগুলোর সঙ্গে এসব তথ্য ছিল না। তাই এটা আশঙ্কা করা যেতেই পারে এবং সেই সঙ্গে সম্ভাবনা আছে যে, এসব পণ্য ভেজাল বা নকল। হয়তো এগুলো এখানেই বানিয়ে বিদেশি কসমেটিক্সের মোড়কে ভরে বাজারজাত করার চেষ্টা করা হচ্ছিলো।
কসমেটিক্স পণ্য ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতারি পণ্য তৈরি ও সংরক্ষণ এবং পোকাযুক্ত বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরি করার অপরাধে হাতিরপুলের বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস