শুক্রবার (২৪ মে) ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জেলা শহরের শায়েস্তানগর, ইনাতাবাদ, চৌধুরী বাজার, সার্কিট হাউজ রোড, নোয়াহাটি, পুলিশ সুপারের বাস ভবন, বগলবাজার, উত্তর শ্যামলী, নোয়াবাদ, মোহনপুর, শ্যামলী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বাস ভবন, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, কালীগাছ তলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার লোকজন বেশিরভাগই হয়ে পড়েন পানিবন্দি।
হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পথচারীদের হাঁটুপানি ভেঙে চলাচল করতে হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে চলাচলে দেখা দিয়েছে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বাংলানিউজকে বলেন, তার বাসা সংলগ্ন পুরাতন খোয়াই নদীতে প্রতিবন্ধকতা থাকায় বাসার সামনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতার জন্য বিভিন্ন এলাকায় এ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কারসহ পরিকল্পিত উদ্যোগ নিলে জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, শহরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। শুধু তাই নয়— শহরের পানি বের হওয়ার খোয়াই নদী, রেললাইন সড়কের খাল দখল হয়ে গেছে। যে কারণে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে খোয়াই নদীসহ পানি চলাচলের খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাস বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ড্রেন পরিষ্কারের জন্য দিনরাত কাজ করছেন। লোকজন সচেতন না হওয়ায় তারা ময়লা ফেলে ড্রেনগুলো ভরাট করায় বার বার এ সমস্যা দেখা দেয়।
এদিকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বাহুবল উপজেলার মাধবীছড়ার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতি হয়েছে মাঠের ফসলেরও।
এছড়ার পানি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে স্থানীয় বাজারসহ পুটিজুরী ইউনিয়নের হিলালপুর, হাজীবাদাম, লামাপুটিজুরী, শেওড়াতুলী, আব্দুনারায়ন, ডুবাঐ বাজারে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থানীয়রা।
প্লাবিত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
জিপি