এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিন আসামি সাইফুল (৩০), বাবু (৩২) ও প্রধান আসামি হারুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে পুলিশ ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের একটি বাড়ি ঘেরাও করে সাইফুল ও বাবুকে গ্রেফতার করে। পরে বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলেয়ারপুর ইউনিয়নের হিরাপুল স্কুলের সামনে থেকে হারুণকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ওই গ্রামের মোস্তফার ছেলে সাইফুল, রুদ্রপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে বাবু ও হারুণ। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে আসামিরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
নির্যাতিতার পরিবার জানায়, অভিযুক্ত তিন আসামি হারুন, সাইফুল ও বাবুর সঙ্গে পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের স্বামীর বিরোধ চলছিল। এর জেরে বিভিন্ন সময় আসামিরা তাদের হুমকি দিয়ে আসছিল।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভিকটিমদের ঘরে ঢুকে ঘরে থাকা জাহানারা বেগম (৫৫) ও মনোয়ারা বেগমকে (১৮) মারধর করে জখম করে আসামিরা। পরে ওই তিন জন ভিকটিমকে একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
যাওয়ার সময় আসামিরা তাদের ঘর থেকে ৪০ হাজার টাকার একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় ও বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুইজনকে দুপুরে ও বিকেলে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরো জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
আরএ