ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লঞ্চ টার্মিনালে যত্রতত্র ভাসমান দোকান, যাত্রী ভোগান্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
লঞ্চ টার্মিনালে যত্রতত্র ভাসমান দোকান, যাত্রী ভোগান্তি

মাদারীপুর: রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের জন্য অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া। এ নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ফলে সারাদিনই যাত্রীদের পদভারে ব্যস্ত থাকে ঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল।

কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নেমে টার্মিনালের ছাউনির ভেতর দিয়ে গিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোটে উঠতে হয় যাত্রীদের। আর এ কারণেই পুরো টার্মিনাল জুড়ে ভিড় লেগে থাকে।

আর ঈদের সময় তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না টার্মিনালের ছাউনির ভেতর।

ব্যস্ততম এ নৌরুটের টার্মিনালের ছাউনির ভেতরটা দখল হয়ে আছে নানা শ্রেণীর হকারদের ভাসমান দোকানে! টার্মিনালের ভেতর যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব ভাসমান দোকানের কারণে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে। ঈদের সময় যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে যেখানে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা থাকে না, সেখানে এসব ভাসমান দোকানগুলো ভোগান্তি বাড়াচ্ছে যাত্রীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ী ঘাটের লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে পৌঁছাতে বেশ বড়সড় করে তৈরি করা হয়েছে টার্মিনাল ছাউনি। আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টির সময় যাত্রীরা ওই ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে পারে। গাড়ি থেকে নেমে টার্মিনালের ছাউনির ভেতর দিয়ে যাত্রীদের পৌঁছাতে হয় লঞ্চ বা স্পিডবোট ঘাটে। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের ভিড় লেগে থাকে পুরো টার্মিনাল জুড়ে। তবে টার্মিনালের ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ভাসমান দোকান।

এছাড়াও স্থায়ী দোকানের দোকানিরাও টার্মিনালের জায়গা দখল করে পণ্য সাজিয়ে রেখেছেন। এতে করে নৌযান থেকে নেমে গন্তব্যের গাড়িতে উঠতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে গাড়ি থেকে নেমে নৌযান ঘাটে পৌঁছাতেও কখনো কখনো বেগ পেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

গোপালগঞ্জগামী যাত্রী আশিক হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চ থেকে নেমে টার্মিনালের ছাউনির ভেতর দিয়ে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হয়। লঞ্চ থেকে নামার পর দেখা যাচ্ছে পুরো ছাউনিজুড়েই নানা ধরনের দোকান নিয়ে বসে রয়েছে হকারেরা। যত্রতত্র ভাসমান দোকানের জন্য হাঁটাচলা বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছে। ঈদের সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠে।

অপর এক যাত্রী আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঘাট টার্মিনালের ছাউনির উভয় পাশেই পর্যাপ্ত স্থায়ী দোকান রয়েছে। সারিবদ্ধভাবে খাবার হোটেল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় নানা পণ্যের দোকান। যা যাত্রীদের জন্য দরকারি। তবে ফুপাতের ওপর ভাসমান দোকানগুলো যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ায়। এগুলো সরিয়ে দিয়ে চলাচলের পথটুকু স্বাভাবিক রাখা দরকার।

এ বিষয়ে ভাসমান দোকানিদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, টার্মিনালের ভেতর বিক্রি বেশি হয় তাদের। মাঝে মাঝে বিআইডব্লিউটিসি'র লোকজন বাধা দিলেও তা সাময়িক। কিছুক্ষণের জন্য সরে গিয়ে পরে আবার দোকান সাজিয়ে বসেন তারা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চ ঘাটের টার্মিনালের ছাউনির ভেতরে ফুটপাতের ওপর দোকান করা অবৈধ। আমরা প্রায়ই এ বিষয়ে দোকান মালিকদের বলি, তা যেন পথের ওপর না বসেন। অথচ তারা বিষয়টি ভ্রুক্ষেপ করেন না। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ করা হলেও, পুনরায় আবার দোকান নিয়ে বসেন তারা।

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত আগামী আইন-শৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করব। ফুটপাতের ওপর ভাসমান দোকান না থাকলে যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তি দূর হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।