ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভিসা ইস্যুতে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে টানাপড়েন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
ভিসা ইস্যুতে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে টানাপড়েন

ঢাকা: ভিসা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। দু’দেশই একে অপরের কূটনীতিকদের ভিসা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাই-কমিশনের একজন কর্মকর্তার ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোয় দু’দেশের মধ্যেই এখন চলছে টানাপড়েন।  

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকেই পাকিস্তান এ বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বারবার নাক গলিয়ে আসছিল। তখন থেকেই ঢাকা-ইসলামাবাদের কূটনীতিতে টানাপড়েন শুরু হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় দু’দেশের মধ্যে নানা ইস্যুতে টানাপড়েন চলেছে। তবে এবার ভিসা ইস্যুতে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে।  

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ মিশনে কনস্যুলার (প্রেস) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত জানুয়ারি মাসে আবেদন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তবে তার ভিসার মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ১৩ মে থেকে পাকিস্তানের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে রাখে। সাময়িকভাবে এ ভিসা বন্ধ করে রাখায় সমালোচনামুখর হয় পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, পাকিস্তানের ভিসা বন্ধ করা হয়নি।  

গত বছর ঢাকায় পাকিস্তানের হাই-কমিশনার হিসেবে মনোনীত করে সাকলাইন সাইয়েদারের নাম পাঠায় দেশটি। তবে বাংলাদেশ তাকে হাই-কমিশনার হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। তখন থেকেই ভিসা ইস্যুতে দু’দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে টানাপড়েন চলে আসছিল।  

সূত্র জানায়, ইসলামাবাদ মিশনে বাংলাদেশের কর্মকর্তার সংখ্যা কম। তার ওপর পাকিস্তান বাংলাদেশের হাই-কমিশনের কর্মকর্তাদের ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোয় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর ফলে সেখানের ভিসা কাউন্টারেই যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে গত ১৩ মে থেকে ইসলামাবাদের হাই-কমিশনে প্রায় এক সপ্তাহ পাকিস্তানের ভিসা দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।  

পাকিস্তানের ভিসার ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইসলামাবাদ মিশনে বাংলাদেশের কিছু অফিসারের ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি পাকিস্তান। আমাদের কনস্যুলার শাখার অফিসারের ভিসা দেয়নি। আবার এখান থেকে যিনি যাবেন, তারও ভিসা দেয়নি। তারাই (পাকিস্তান) আমাদের জোর করে ঝামেলায় ফেলছে।

ঢাকার পাকিস্তান হাই-কমিশনের দাবি, তাদের দেশের কূটনীতিকদেরও ভিসার মেয়াদ বাড়াচ্ছে না বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ঢাকার পাকিস্তান হাই-কমিশনের কনস্যুলার (প্রেস) মুহম্মদ আওরঙ্গজেব হারাল বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার পাকিস্তান হাই-কমিশনের কূটনীতিকরা অনেক দিন ধরেই ভিসা সমস্যা মোকাবেলা করছে। বাংলাদেশে আসতে পাকিস্তানের কোনো কোনো কূটনীতিকের ভিসা ৬-৮ মাস পেতে দেরি হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
টিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।