নিজস্ব গতিতে যথারীতি চলাচল করে ট্রেন। শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে ট্রেনগুলো সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়।
যে কোনো সময় শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের এই রেলক্রসিংয়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। ফিনলের শ্রীমঙ্গল শহর সংলগ্ন ব্যস্ততম চা বাগান ভাড়াউড়া। এই সড়কটি চা বাগানের নিজস্ব সড়ক হলেও প্রতিদিন অনেক যানবাহন নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে সূত্র জানান, ভাড়াউড়া লেভের ক্রসিংয়ে মোট তিনজন গেটম্যান ছিল। এরা নির্দিষ্ট সময়ে যার যার নির্ধারিত সময়মতো ডিউটি থাকার কথা। তবে লোকবল সংকটের কারণে একজন গেটম্যানকে ভাড়াউড়া থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ততম লেভেলক্রসিং শাহজিবাজারে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে দু’জন অবশিষ্ট রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউকেই পাওয়া যায়নি। যানবাহানগুলোর চালক নিজেরা দু’দিকে দেখেশুনে তারপর গাড়ি পারাপার করছেন। নিরাপত্তাজনিত লাইটগুলো লাগানো মাত্রই মাটির দিকে মুখ করে ঝুলে গেছে। খুঁটিতে লেগে থাকা সাইনবোর্ডের সতর্কবার্তার অক্ষরগুলো মুছে গেছে। চা বাগানের মালবাহী একটি ট্রাক্টরকে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখা গেলো।
সঞ্জিত হাজরা ও সুব্রত হাজরা নামে দু’জন শ্রমিককের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, গেটম্যান দু’জন এখানে কর্মরত আছেন। কিন্তু তারা যখন খুশি আসেন, আবার যখন খুশি চলে যান। এই লাইটগুলো লাগানোর প্রায় দু’সপ্তাহ হয়ে গেছে। লাগানোর পরপরই এর মুখ মাটির দিকে মুখ করে আছে।
ফিনলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এবং সিনিয়র টি-প্ল্যান্টার গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভাড়াউড়া চা বাগানের এই রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান নেই বললেই চলে। তাদের সময় মতো পাওয়া যায় না। প্রতিদিন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়িগুলো এই পথ দিয়ে পারাপার করে। রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টির দিকে দৃষ্টি দিলে আমাদের সুবিধা হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরাও বিষয়গুলোর প্রমাণ পেয়েছি। ভাড়াউড়ার লেভের ক্রসিংটি ঝুঁকিমুক্ত রাখতে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
বিবিবি/এএ