দগ্ধরা হলেন- গৃহবধূ শানু আকতার (২০), প্রতিবেশী আরমান (২০), তুহিন (২২) ও মেহেদী (১৫)।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দিনগত রাত ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ পারহাউজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ শানুর বাবা শফুর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ মাস আগে প্রতিবেশী অলির সঙ্গে আমার মেয়ে শানু আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাসের মাথায় নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। এরপর প্রায়ই অলি আমার মেয়েকে মারধর করতো। পরে আমরা জানতে পারি অলি মাদকাসক্ত। বৃহস্পতিবার দুপুরেও অলি মারধর করলে শানু রাগ করে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে রাতে শানুর প্রতিবেশী আরমান, তুহিন ও মেহেদী সঙ্গে নিয়ে ফের ওই বাসায় গিয়ে ঝগড়ার কারণ জানতে চায়। এক পর্যায়ে অলির বড় বোন লিপি তার বাসার চুলার ওপর থাকা গরম তেল তাদের ওপরে নিক্ষেপ করেন। এতে শানুসহ চারজন দগ্ধ হয়।
এরপর তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন বলেও জানান শফুর উদ্দিন।
বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগের একটি সূত্র জানান, শানুর শরীরে ৬ শতাংশ, আরমানের ৬ শতাংশ, মেহেদীর ৭ শতাংশ ও তুহিনের ১২ শতাংশ ঝলসে গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধরা ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
এজেডএস/ওএইচ/