দেশীয় মুদ্রায় প্রথম ধাপে দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা হিসেবে)। ‘সাসেক চিটাগং-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের (ফেজ ১) জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
আর দ্বিতীয় ধাপে ঋণ দেওয়ার পরও পর্যায়ক্রমে আরো দুই ধাপে সর্বমোট দেড় বিলিয়ন ঋণ দেবে এডিবি। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি দুটিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এসময় এডিবি ও ইআরডির উর্ধতন কর্মকর্তা এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটনখাতে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি মাত্র। এ প্রকল্পে এডিবি তাদের বহুস্তর ভিত্তিক ঋণ সুবিধার (এমএফএফ) আওতায় চার কিস্তিতে দেড় বিলিয়ন ( ১৫০ কোটি) ডলার ঋণ দেবে। এর অংশ হিসেবে প্রথম কিস্তির ৩০ কোটি ও দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তিক হলো। বাকি ঋণ পর্যায়ক্রমে পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম এথেক পর্যটন এলাকা কক্সবাজার থেকে মায়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ‘দোহাজারি থেকে রামু হয়ে ঘুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এটা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার এবং রামু থেকে মায়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই ধাপে ১২৯ দশমিক ৫৮৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সঙ্গে প্রকল্পটি সংযোগ স্থাপন করবে। ফলে রেলপথ যাবে কক্সবাজারেও। প্রকল্পটি ২০১০ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়, সম্পূর্ণ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে।
আর এ নিয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা চালু হবে। সরকার প্রকল্পটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের ১০টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে এটা অন্যতম। তাই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিবি ঋণ দিতে পেরে খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা; মে ২৪, ২০১৯
এমআইএস/এইচএমএস/এমএমএস