এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম আমিনুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া শুরু হলে আম বাগানগুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে এ পোকা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
এদিকে, আমবাগান মালিকদের অভিযোগ, শিবগঞ্জের ইটভাটাগুলো সরকারি বিধিনিষেধ মেনে না চলার কারণেই আম ও অন্যান্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
***ঝড়ে ভেঙে গেছে ১৪ মাথা খেঁজুর গাছটিও, আমের ক্ষতি
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে আমের নিচের অংশ সরু হয়ে গেছে এবং আম আকারে ছোট হয়েছে। এছাড়া আমের নিচ অংশে পচন ধরেছে। শুধু তাই নয় আমের গায়ে কালো দাগ হয়ে যাচ্ছে। যেগুলো গাছে রয়েছে সেগুলোর স্বাদ তিতো।
এ ব্যাপারে আম বাগান মালিকেরা পরিবেশ অধিদফতর, স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছে না। এতে করে ইটভাটা সংলগ্ন আমবাগানের মালিকেরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় গত তিন বছর থেকে জিগজ্যাগ চিমনির মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে ইট পোড়ানোর ব্যবস্থা করলেও সঠিক নিয়ম না মানার কারণে ওইসব জিগজ্যাগ পদ্ধতি ভাটার আশপাশের এলাকায় আম এবং অন্যান্য ফসলের বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে তৈরি ইটভাটার মালিক আবু তালেব বাংলানিউজকে জানান, এ পদ্ধতির মাধ্যমে ইট পোড়ানো ভালো। তবে নিয়মনীতি না মানলে ক্ষতি হবে বেশি। জিগজ্যাগ চিমনিতে ভাটার পাশে যে পানির ট্যাংকিতে পানি থাকার কথা, তাতে ভাটা মালিকরা পানি রাখে না। কারণ ট্যাংকিতে পানি থাকলে জ্বালানি খরচ বেশি পড়ে এবং ভাটায় ইট কম পুড়ে। এ কারণেই ভাটা মালিকেরা ওই পদ্ধতি ব্যবহার করলেও নিয়মকানুন মেনে চলে না। সঠিক নিয়মে ইট পোড়ানো হলে আম বা অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এনটি