বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী কামাল গেট এলাকায় আলিফ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আলিফ ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলে এ ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ কারখানা সম্প্রসারণের নামে চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করে তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়।
ওই কারখানার বেশ কয়েকজন শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, সকালে তারা কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় কারখানার মূল ফটক থেকে তাদের জানানো হয়, সকাল ৯টায় বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে। পরে আলিফ ইউনিটেক্সের দেড় শতাধিক শ্রমিককে কোনো নোটিশ ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ছাড়াই শুধু চলতি (মে) মাসের ২২ দিনের বেতন-বোনাস দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
তারা আরও জানান, গত দুই মাস আগেও কোনো রকম নোটিশ বা প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কারখানাটির ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, কারখানার ওই ইউনিটে নতুন মেশিন প্রতিস্থাপন করা হবে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে আধুনিকায়ন করতে যা করা দরকার তাই করা হবে। তাই শ্রমিকদের বলা হয়েছে- দুই মাস কোথাও থেকে ঘুরে আসার জন্য।
শ্রমিকদের কোনো দোষ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কারখানা সম্প্রসারণে তাদের দুই মাসের জন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুই মাস পরে আবার তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে শ্রম আইনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। স্থায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা এটি করতে পারে না, এটি সম্পূর্ণ বে-আইনি। কারণ এ দুই মাস শ্রমিকরা কোথায় যাবেন, কি করবেন। আর পরে এ কারখানায় চাকরি করতে পারবেন কি না তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এছাড়া বিষয়টি নিয়ে দুপুরে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এসআরএস