বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে হাসপাতালের ডা. তপন কুমার মন্ডল, নার্স শাহানাজ পারভীন ও কুহেলিকার নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হাসপাতালে অনাকাঙিক্ষত ঘটনা এড়ানোর জন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পিত্তথলির পাথরজনিত সমস্যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ডাক্তার তপন কুমার মণ্ডলের কাছে দেখানো হয়। গত মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টায় ওই শিক্ষার্থীর অপারেশন করার দিন ধার্য ছিল। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতালের নার্স ওই ছাত্রীকে গ্যাসের ইনজেকশনের পরিবর্তে ভুল করে অজ্ঞান (অ্যানেসথেসিয়া) করার ইনজেকশন দিয়ে দেয়। এ সময় ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হরিয়ে ফেলেন। পরে তাকে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এঘটনায় বুধবার রাতে ওই ছাত্রীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক তপন কুমার মণ্ডল, নার্স শাহানাজ ও কুহেলিকার নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এসএইচ