সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মীরা বলছেন, স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ার পর বৈধ এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন ও ২৭ রাউন্ড গুলি রয়েছে।
তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। এখন তিনি রাজশাহী মহানগরীর উপশহরে বসবাস করেন।
প্রায় ৬৫ বছর বয়সী হাসান এখন ব্যবসায়ী। তার দাবি, ঢাকা যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে ঢোকার সময় তিনি অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের জানিয়েছিলেন। তবে সিভিল অ্যাভিয়েশন তার দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
হযরত শাহ মখদুম (র.) বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এসএম হাসান বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টায় প্লেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রাজশাহী ছাড়ে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে এসএম হাসান বিমানবন্দরে আসেন। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় প্রথম স্ক্যানিংয়েই তার ব্যাগে অস্ত্র ধরা পড়ে। তখন সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তাকর্মী মাজেদুল ইসলাম তাকে আটকান। এ নিয়ে হুলস্থূল শুরু হয়। এসময় এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকীকেও ডাকা হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি দাবি করেন, অস্ত্র থাকার বিষয়টি তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে জানিয়েছিলেন। তিনি হয়তো শুনতে পাননি। তবে নিরাপত্তাকর্মী মাজেদুল ইসলামের দাবি, তাকে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। স্ক্যানিংয়ের সময় তিনি প্রথম অস্ত্র দেখতে পান।
বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক বলেন, এসএম হাসানের বয়স অনেক। চিকিৎসার জন্য তিনি একাই ঢাকা যাচ্ছিলেন। তবে অসৎ কোনো উদ্দেশ্যে অস্ত্র ছিল বলে আমাদের কাছে মনে হয়নি। তারপরেও অস্ত্রগুলো নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। অস্ত্র ‘বুঝিয়া পাইলাম’ লিখে দিয়ে অস্ত্রগুলো আমাদের হেফাজতেই রাখা হয়। অস্ত্র ছাড়াই ঢাকা গেছেন এসএম হাসান। পরে অস্ত্রগুলো এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এসএম হাসানকে তা বুঝে নিতে হবে।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অস্ত্র বৈধ হলেও ওই যাত্রী বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের অবহিত করেছিলেন কিনা তা তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সেটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো। এরপরই অস্ত্রগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংরাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
এসএস/এএ