ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

২০০১ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ৩৬২৫টি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১১

ঢাকা: ২০০১ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একটি জুডিশিয়াল তদন্ত কমিশন খুন, ধর্ষণসহ সারদেশে ৩ হাজার ৬২৫টি সহিংস ঘটনার অভিযোগ পেয়েছে। এসব ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী, মেজর হাফিজ, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তরিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ  বিএনপি জামায়াতের ২৬ হাজার ৩৫২ জন জড়িত ছিল।



বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা তদন্তে গঠিত জুডিশিয়াল তদন্ত কমিশনের রিপোটের উপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এ তথ্য জানান।

এ সময় তার সাথে প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকতৃরা উপস্থিত ছিলেন।

এসব ঘটনায় জড়িত বিএনপি জামায়াত নেতাদের মধ্যে সাংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া, নাদিম মোস্তফা, ডা: আবু তাহের, ভিপি জয়নাল, ইলিয়াছ আলী, শহীদুল হক জামাল, অধ্যাপক একরামুল কবির, আব্দুস সোবাহান, এইচ এম সেলিম, শহীদুল ইসলাম, হাফিজ ইব্রাহীম, সালাউদ্দিন আহমেদ, আলমগীর হায়দার, ডা. সালেক চৌধুরী, জহির উদ্দিন মোহাম্মদ স্বপন, সাখাওয়াৎ হোসেনের নামও প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কমিশনের সুপারিশের আলোকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাহারা খাতুন জুডিশিয়াল তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের বরাত দিয়ে জানান, ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী ১৫ মাসে সহিংস ঘটনা ঘটেছে ১৮ হাজারেরও বেশি। তবে কমিশনে  অভিযোগ দাখিল হয়েছে ৫ হাজার ৫৭১টি। এর মধ্যে কমিশন ৩ হাজার ৬২৫টি অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করেছে। তদন্ত রিপোর্টে ২৬ হাজার ৩৫২ জনকে আসামী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, রিপোর্টে তদন্ত কমিশন আসামিদের বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রুজু করা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেছে। সরকারকে এসব মামলা পূর্ণবিচারের প্রস্তাব করেছে কমিশন।
 
প্রতিমন্ত্রী জানান, বিএনপি জামাত জোটের সন্ত্রাসীদের নামে ৫ হাজার ৮৯০ টি মামলা সরকারিভাবে প্রত্যাহার করে নিয়ে ৭০ হাজার দলীয় নেতাকমৃকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ৩ হাজার ৬২৫ অভিযোগের মধ্যে রাজনৈতিক হত্যা রয়েছে ৩৫৫টি। ধর্ষণ, লুটপাপ, সংখ্যালঘুদেও উপর নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ অন্য অপরাধ ৩ হাজার ২৭০টি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সারৈর ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টেও নির্দেশনায় প্রাক্তন জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি জুডিশিয়াল তদন্ত কমিশন গঠণ করা হয়। কমিমনের অপর দুই সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনোয়ার হোসেন আখন্দ এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মীর শহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।