ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেনের টিকিট কেনায় ভোগান্তি কমেছে

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
ট্রেনের টিকিট কেনায় ভোগান্তি কমেছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে রেলওয়ের অগ্রীম টিকিট বিক্রি। প্রথমবারের মতো কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বাইরেও টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। রেলওয়ের এ উদ্যােগ যেমন প্রশংসিত হচ্ছে, তেমনি টিকিট কিনতে কমেছে মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি। 

টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীরা বলছেন, রেলওয়ের এমন উদ্যােগ প্রশংসার দাবি রাখে। যদিও প্রথমবারের মতো চালু হওয়া মোবাইল অ্যাপস ‘রেল সেবা’ কাঙ্খিত সেবা দিতে না পারায় দুর্নাম কুড়িয়েছে।

আর এর দায় রেলমন্ত্রী নেওয়ায় ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন লোকজন।  

ঈদুল ফিতরের অগ্রীম টিকিট বিক্রির জন্য রাজধানীর পাঁচ জায়গায় টিকিট বিক্রি চলছে। এবারই প্রথম  দুর্ভোগ কমাতে এ উদ্যােগ নিলো রেলপথ মন্ত্রণালয়। ফলে যানজটের শহর ঢাকায় বসবাসকারী লোকজনের যাতায়াতে যেমন ভোগান্তি কমেছে, তেমনই টিকিট কেনাও ভোগান্তি কমেছে। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে লাখো মানুষের মধ্যে টিকিট কাটতে হচ্ছে না।  

কমলাপুরে উত্তরবঙ্গ ও সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল, বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুর আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। ফলে অতীতের কমলাপুরের সেই চিরচেনা রুপ নেই। রাত-বিরাত অপেক্ষা করেও টিকিট না পাওয়ার যে আক্ষেপ সেটা কমেছে।  

কমলাপুরে টিকিট কাটতে আসা আনিসুল ইসলাম বলছিলেন, এটা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অনেক দেরিতে হলেও তারা এমন উদ্যােগ নিয়েছে, এজন্য প্রশংসার দাবি রাখে।  

আরেক টিকিট প্রত্যাশী ফাহিমা সুমাইয়া বাংলানিউজকে বলেন, অঞ্চল ভেদে ভাগ করে দেওয়ায় যাত্রীদের সুবিধা হয়েছে। সবাইকে একই জায়গায় এসে ভিড় করতে হচ্ছে না। এতে টিকিট দ্রুত দিতে পারছেন। এটা ভালো দিক।  

তবে অ্যাপসে টিকিট না কিনতে পারায় বিরক্ত আরেক টিকিট প্রত্যাশী সাদ বিন সোহাইল। তিনি বলেন, সরকারি অ্যাপস বলেই এমন সেবা। রাইড শেয়ারিংয়ের অ্যাপসে এক সঙ্গে কতো লাখো মানুষ ব্যবহার করে তাদের সার্ভার তো ডাউন হয় না।  কিন্তু রেলের অ্যাপসে কয়েক হাজারেই ডাউন। তবে অঞ্চল ভেদে টিকিট বিক্রি করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময় : ০৮০৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৯
টিএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।